Ad Code

Responsive Advertisement

Socialism? or Anti- 'Social'ism?





বিপ্লব’- ছোটবেলা থেকেই শব্দটার প্রতি একটা আবেগ কাজ করতো। সব ভেঙ্গে দাও, নতুন ভাবে সব তৈরি করো। ভালোবাসাটা আছে আজো। 

বিপ্লবের ব্যাপারে তুমুল পড়ালেখা করতাম। Dectator থেকে শুরু করে The Kingdom of Heaven দেখা, ম্যাক্সিম গোর্কির মা থেকে মাওয়ের লংমার্চ, পেপার কাটিং সবজুড়ে ছিলো বিপ্লব আর বিপ্লব। দেখতাম ফিদেল ক্যাস্ত্রো, লেলিন কীভাবে বদলে দিচ্ছেন ক্ষমতার মসনদ, ‘বিপ্লবের প্রসব বেদনাকাটিয়ে আজ কীভাবে তারা প্রতিষ্ঠা করলেন সমাজতন্ত্র। আহেদ তামিমির ছবি দিয়ে একজন লিখলেন, “এখন প্রতিবাদ ইম্পরট্যান্ট। কার পোষাক কেমন তা ইম্পরট্যান্ট না”-
  পড়ে জোশ জেগে উঠলো, গালি দিয়ে বসলাম এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি (?) করা চরমপন্থীদের (!)। ভাগ্যিস! আজ ভাইয়ার কারণে আমি আর বিদ্রোহী নই, বাস্তববাদী। 
 
আমাদের ইলা সাহা ম্যাডাম বলতেন, “কম্যিউনিস্ট রাষ্ট্রে তোমার বউও তোমার না, রাষ্ট্রেরআমাদের পার্টির এক ভাই কম্যিউনিস্ট আন্দোলনকে বলতেন চিকা মারা আন্দোলন। কারণ, চিকা মারা ছাড়া তেমন কোনো সিগনিফিক্যান্ট কাজ তাদের দেখা যায় না। রাস্তাঘাটের দেয়ালে, প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং এ বিভিন্ন রঙ বেরঙের চিকা দিয়ে লিখা থাকে- বিপ্লব অথবা মৃত্যু’, ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করো’, ‘পুঁজিবাদ ব্যর্থ’, ‘সমাজতন্ত্রই মুক্তির একমাত্র পথকিংবা সেশনজট বন্ধ করো

সে যাই হোক, জাতীয়তাবাদ বিরোধী কম্যিউনিজম সমগ্র পৃথিবীকে কব্জায় আনার চেষ্টা করেসাম্য’, ‘শ্রেণি আন্দোলনকিংবাপ্রলিতারিয়েটদের অধিকাররক্ষার কথা বলে। নিঃসন্দেহে কথাগুলো অনেক সুন্দর। কিন্তু পৃথিবীর সকল খারাপ কিছুই সুন্দর কোনো ড্রেস ধারণ করে। গাদ্দাফির সমঅধিকার নিশ্চিত করার নিদর্শন তার নারী গার্ড গুলো যে তার হারেমের নারী এবং তাদের তিনি ভোগ করতেন অহর্নিশ- তা কে জানত?[১]

সে যাই হোক, জাতীয়তাবাদ বিরোধী কম্যিউনিজম সমগ্র পৃথিবীকে কব্জায় আনার চেষ্টা করেসাম্য’, ‘শ্রেণি আন্দোলনকিংবাপ্রলিতারিয়েটদের অধিকাররক্ষার কথা বলে। নিঃসন্দেহে কথাগুলো অনেক সুন্দর। কিন্তু পৃথিবীর সকল খারাপ কিছুই সুন্দর কোনো ড্রেস ধারণ করে। গাদ্দাফির সমঅধিকার নিশ্চিত করার নিদর্শন তার নারী গার্ড গুলো যে তার হারেমের নারী এবং তাদের তিনি ভোগ করতেন অহর্নিশ- তা কে জানত?[১]



কম্যিউনিজম সফল নাকি ব্যর্থ- তা আমার আলোচ্য বিষয় না।সাম্যএর
  মতো সুন্দর একটা শব্দ দিয়ে হিপনোটাইজ করে মানুষের আত্মাভিমানকে জাগিয়ে দিয়ে জারতন্ত্রের পতন ঘটায় কম্যিউনিজম। তারপর? লাখো মানুষের আত্মত্যাগ আর কস্টকে নালায় ফেলে ১৯১৯সালের ২রা ফেব্রুয়ারি রুশ বিপ্লবের প্রাণপুরুষ লেলিন বলেন, 

ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস এক হাজার বার সঠিক কাজ করেছেন যখন তিনি স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন যে, সাম্যের প্রতিটি দাবী শ্রেণিবিভাজনকে মুছে দেয়ার জন্য যে প্রতিরোধ তাকে শক্তিশালী করে। এটি বোধগম্যতার বাইরে নির্বুদ্ধিজাত একটি ব্যাপার”[২]।

  মানে কী? এতো মানুষের রক্ত কেবল একটা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নষ্ট হলো? কী সেই স্বার্থ? যে শ্রমিকরা তাদের জন্য রক্ত দিলো, যাদের কথিত অধিকারের জন্য তারাবিপ্লবকরল, কেন তাদের বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করা হলো[৩], কেন তাদেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো, কেন জারতন্ত্রের চেয়ে আরো খারাপ অবস্থায় তারা নিপতিত হলো[৪]? College de France এর Social Science এর প্রফেসর ড. র‍্যামন্ড অ্যারোন বলেন,  

মার্কসবাদী একনায়কতন্ত্রের দুঃশাসন স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করেছে, চিন্তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে, উন্নত জীবন ও উত্তম ভবিষ্যতের নৈতিক আকাঙ্ক্ষা ও উদ্যমকে বিনষ্ট করেছে[৫] 

কিন্তু কেন?

আলোচনার এ পর্যায়ে এসে প্রসঙ্গ প্রমাণের প্রয়াসে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করি। কম্যিউনিজম যে নাস্তিকতা তার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই। কারণ-

“Marxism can’t be conceived without Atheism.”[৬]
“The Marxist must be an enemy of Religion.”[৭]
“Down with Religion. Long live Atheism.”[৮]
“Anti religious propaganda is free. Religious propaganda is not free.”[৯]


তার মানে, কম্যিউনিজমের ধর্মীয় স্ট্যান্ডই যে নাস্তিকতা (Atheism), তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তারা যে ম্যাক্সিম গোর্কির দয়ালু ঈশ্বরকেও[১০] মানে না, তাও সত্য। এটা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। একজন মুসলিম হিসেবে আমার কাছে সব অমুসলিম এক পাল্লায়।
 
 
কিন্তু ধর্মের শত্রু হতে বলার পরও, স্টালিন কর্তৃক ১১ মিলিয়ন মুসলিম হত্যার পরেও[১১], মার্কস ধর্মকে আফিম বলার পরেও, লেলিন যখন বলেন, “ধর্ম জাতির জন্য আফিমতূল্য; কিন্তু নির্বাচিত ইয়াহুদি জাতির কল্যাণে ইয়াহুদি ধর্ম রক্ষা করা খুবই জরুরি। এতেই তারা অধিকার ফিরে পাবে। কারণ ইয়াহুদি ধর্ম ছাড়া ইসরাঈলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না
।[১২] তখন সত্যিই সন্দেহের উদ্রেক ঘটায়। এছাড়াওফিলিস্তিনের ভূমি বণ্টনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে ভোট প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘে সোভিয়েটের এজেন্টদের নেতা ছুটে এসে অফিসে ঢোকে এবং মদের পেয়ালা বের করে ইয়াহুদিদের উদ্দেশ্যে পরিবেশন করেন। মূলত, ইয়াহুদিদের আন্তঃ রাষ্ট্রীয় কম্যিউনিস্ট বন্ধুরা এই ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে।[১৩] 

কিন্তু কেন?
 

যারা “….enemy of religion…”, তারা এতো ঘনিষ্ঠ কেন ইয়াহুদিদের? সমাধানের জন্য একটু পেছনে যেতে হবে। চলুন, কিছু সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করি।
১৮৯৫ সালে ইয়াহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন থিওডোর হার্জেল[১৪]। তিনি ১৮৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডে বাসেল সম্মেলনের আয়োজন করেন। তারা একটা গোপন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন যার নাম-
The Protocols of the Learned Elders of Zionযা এক মহিলা ফ্রিম্যাসন লজ থেকে চুরি করে তার প্রেমিক রুশ পাদ্রী প্রফেসর নাইলাসকে দেয়। যা ১৯০৫ সালে প্রকাশিত হয়। 

কী এই Protocol?
 

এই বইটি হলো ইয়াহুদিদের এক সুগভীর চক্রান্ত সমগ্র বিশ্বকে শাসন করার। আধুনিক প্রকাশনী থেকেইয়াহুদি চক্রান্তনামে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
  শুধু অ্যামেরিকায় একজন ব্যক্তি- হেনরি ফোরড এটি ৫ লক্ষ বিতরণ করেন। মজার বিষয় হলো, এর ঠিক ২০ বছর পর লেলিন রাশিয়ায় বিপ্লব ঘটান ও এই বইয়ের সব কপি ধ্বংস করেন[১৫]। 

অবাক করা বিষয় না? কিন্তু কেন?
 

সে বইয়ে বলা হয়েছে,
 

“…..don’t assume our speech biased. Remember carefully what we did to accomplish the success of Theory of Evolution, Marxism, Nazism. Every person of Zionist society should look through the anti compactness rules of these isms….”[১৬]

“….so called fundamental rights is only confined in brain…. Look, the pathetic situation of the proletariat! Their fate is now worse than before, they are double hopeless and useless now. If the speakers say useless and the journalists write unauthentic beside some important details, proletariat can’t do anything also then. The constitution we gave that’s a sort of sympathy and some alms from scraps. ….. we come to stage as we are the savior of them. And we found some revolutionist group like communists and we convince them to join the groups….” [১৭]


মানেটা কী দাঁড়ালো? একশো মিলিয়ন[১৮] (১ এর পিঠে ৮টা শূন্য) মানুষ মরল শুধু জায়োনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য!!

আল্লাহ এভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচন করেন।
আল্লাহই ভালো জানেন।
 


রেফারেন্সঃ
১। গাদ্দাফির সাথে আমার জীবন- অ্যানিক কোজেন।
২। আত তারিখুস সিররিলিল আলাকাতিশ শুয়ুইয়্যাহ আস সাহয়ুনিয়্যাহ। পৃ ১৯৭-১৯৮।
৩। 1984- George Orwell.
৪। The death of Karl Marx- G Pino.
৫। The Opium of the Intellectuals- Raymond Aron. P.16.
৬। Religion- Lenin. Introduction.
৭। Religion- Lenin. P.21
৮। Religion- Lenin. P. 19
৯। Soviet Strength- Hewlett Johnson.
১০। মা- ম্যাক্সিম গোর্কি। উপন্যাসসমগ্র, সালাউদ্দীন বইঘর। পৃ. ৪৯।
১১। Moslems in the Soviet Union- Shatal Kalkaji & Alexander Benigish.

১২। Literature of Talmud. P. 95.

১৩। State at the Stage of Birth- Devid Horviths.

১৪। The Jewish State- Theodor Herzl.

১৫। Protocols of the (Learned) elders of Zion- xroads.virginia.edu introduction.

১৬। Protocols- 2nd C

hapter.

১৭। Protocols- 3rd Chapter.

১৮। The Black Book of Communism.  






Post a Comment

3 Comments