Ad Code

Responsive Advertisement

Secularism, Islam & Puppet Master



[]
প্রোমিথিউসজিউস ভগবানের নির্দেশে পানি মাটি দিয়ে মানুষ সৃষ্টির কাজ করছিলো। প্রোমিথিউসের মানুষের প্রতি ছিলো ভয়াবহ মাত্রার সৌহার্দ্য সৌহৃদ্য। তাই সে আকাশমার্গ থেকে পবিত্র আগুন (Heavenly Fire) চুরি করে মানুষকে দেয়। [ William Hansen, Classical mythology: A Guide to the Mythical World of Greeks and Romans (Oxford University Press, 2005). p 32, 48-50, 69-73.]যার কারণে ভগবান জিউস তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করেন। তাকে কোহকাফ পর্বতশৃঙ্গে বাঁধে এবং শকুন বসিয়ে দেয়। সে শকুন ধীরে ধীরে খুবলে খুবলে খায় তার হৃদয়। শেষ হলে গঠিত হয় আবার। চলতেই থাকে....”[The Aetos Kaukasios in Prometheus Myth.]
অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন এবং Age of Enlightenment এর পর থেকে স্রষ্টা এবং রাষ্ট্রের কিংবা মানবতার দ্বন্দ্বটা প্রকাশ্যে আসে। প্রোমিথিউস হয়ে উঠতে থাকে মানুষের হিরো, ইলুমিনাতি প্রশ্ন করে যীশুর অতিমানবিক ভিত্তিকে, গ্রিক মিথোলজি থেকে উঠে আসা জিউসের হাত ধরে GODs হয়ে ওঠে মেডিটেশানের নিয়ামক এবং Unrealistic Mythology রাষ্ট্র থেকে মানব ইতিহাস, নৈতিকতা থেকে আচরণ- সবকিছু থেকে শিফট ডিলেট মারা হয় স্রষ্টাকে। [The intellectual Develpment of Europe - John William Draper (1, p. 335)] 

সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা হলো এনলাইটেনমেন্টের গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া একটি পলিটিক্যাল ভিউ। পশ্চিম অনেক আগে থেকেই আকীদার উপর আমল করতে থাকলেও আমাদের সাথে এর পরিচয় আতাতুর্কের আমলে অটোম্যানদের শেষ আমলের শাসকরা জাতে ওঠার জন্য ইসলাম এবং রাষ্ট্রকে আলাদা ভাবা শুরু করেন। যার অন্যতম প্রমাণ হলো সমকামীতা বৈধকরণ [Encyclopedia Brittanica-Ottoman empire]
দামেস্ক ইউনিভার্সিটি থেকে তখন বের হয় আল্লাহর জানাজা (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। অটোম্যানদের  মানসিকতা তাদের শেষ রক্ষা করেনি বরং এনলাইটেনমেণ্টের ধাক্কায় যুক্ত বিযুক্ত করা ইসলামের পলিটিক্যাল স্ট্রাকচারকেও ডার্ক ইরেজার দিয়ে মুছে দেওয়া হলো।
 
খৃস্টধর্ম বিকৃত হয়ে গেছে- এটা কেবল মুসলিম হিসেবে আমাদের আকীদাই না বরং এটি একটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা।[The Quran, The Bible and science- Dr. Maurice Bucaille]  তাই সামগ্রিকভাবে এদের থেকে কল্যাণকামীতা আশা করাটাই ভুল। মূল ঈসায়ী ইঞ্জিল পরিবর্তিত হয়, সীমাবদ্ধ মানুষ তাতে যুক্ত করতে থাকে পৃথিবী, মহাবিশ্ব নিয়ে এমনসব জ্ঞান(!) যে সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই।

  পরবর্তীতে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বেরিয়ে আসতে থাকে এমন সব তত্ত্ব যা সরাসরি বাইবেলের সাথে সাংঘর্ষিক, যেমন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে টাইপ তত্ত্বগুলো। সত্য গ্রহণ করার চেয়ে চার্চের সম্মান(?) এবং ক্ষমতা(!) টিকিয়ে রাখাই ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। তাই নৃশংস থেকে নৃশংসতম উপায়ে তারা রুদ্ধ করে বিজ্ঞানের মুখ- গ্যালিলিওকে জেলে পুরে, ব্রুনোকে পুড়িয়ে, হাইপেশিয়াকে কুচি কুচি করে। এমন অসংখ্য বিজ্ঞানি। এবং বিষয়টি এতোটাই মারাত্মক লেভেলে চলে গিয়েছিলো যে এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না হলেই ইতিহাসে নতুন প্যাটার্ন সৃষ্টি হতো। আর পাদ্রীরা কেবল তত্ত্বগুলোর প্রতিই যে কেবল আগ্রাসী ছিলো এমন না, তারা সমাজের প্রতিও ছিলো জুলুমবাজ। হাইপেশিয়াকে তার কোনো তত্ত্বের জন্য মারা হয়নি। সে একজন নারী এবং নারী হয়েও গবেষণা করছে- তাই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তারা মরে গিয়েছে, কিন্তু পরাজিত হয়নি। [Introduction to The history of science- George Sarton (I, 17) The New encyclopedia Brittanicca Vol 8. p. 107] 

চলমান নিষ্পেশনের ফলে বিজ্ঞান তার অনুসারীদের অবস্থা হলো প্রত্যাখ্যানের শিকার হয়ে মেয়েরা সব খারাপ স্ট্যাটাস দেওয়া বখাটের মতো। সাইয়েদ কুতুব শাহীদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, পৃথিবীতে কোনো ধর্মই ব্যক্তিগত জীবনের আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকার জন্য আসেনি। বরং ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতেচেষ্টা’ করে এগুলো।" [কালজয়ী আদর্শ ইসলাম- সাইয়েদ কুতুব শাহীদ রাহিমাহুল্লাহ] 
প্রাথমিকভাবে সব মতবাদই আদর্শ। একটি আদর্শ, ধর্ম হয়ে অঠার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করেন ড্যান ব্রাউন। ABC…. 
A-     Assurance. মোক্ষলাভের নিশ্চয়তা।  
B-      Believe. অলৌকিকত্বে বিশ্বাস।  
C-      Convert. ধর্মান্তকরণ। [Lost Symbol- Dan Brown] 
সাধারণভাবে আদর্শ শব্দটি বস্তুবাদি আদর্শের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং ধর্মকে কেবল পূজা পার্বনের মতো কিছু ব্যক্তিগত আনুষ্ঠানিকতা মনে করা হয়। কিন্তু এটি বাস্তবতা তা নয়। মৌলিকভাবে অলৌকিকত্ব আরোপের জন্যই যেহেতু ধর্ম ধর্ম হয়ে ওঠে আর আল্লাহর দোহাই দিয়েই যেহেতু চার্চ সবকিছু যায়িজ করতো তাই সব ক্ষোভ গিয়ে পড়লো সরুদাগে অতিমানবিক কনসেপ্ট এবং মোটাদাগেইলাহ'র উপর।সব ইলাহ খারাপ, ‘সব ধর্ম খারাপ অতিমাত্রার সরলীকরণ।
ভৌত বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে সংকীর্ণ হয়ে আসে ধর্মের স্থান। এর প্রেক্ষিতে প্রথমে আনা হয় DEISM এর ধারণা। [God the evidence. p. 34]
কী এই Deism?


Deism হলো নিষ্কর্মা, নখদন্তহীন স্রষ্টার ধারণা। এখানে স্রষ্টাকে স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা হয় (First Cause) কিন্তু অস্বীকার করা হয় ওয়াহীকে। এখানে এসেই মানুষ জীবনে নিয়মনীতি বিধান প্রণয়নে আল্লাহর ক্ষমতাকে অস্বীকার করে এবং তুলে নেয় তা নিজের হাতে। কেননা স্রষ্টার অনেক বিধানাবলির জন্য অনেক ইতিবাচক গবেষণা আটকে যাচ্ছিলো এবং বাইবেলকে স্রষ্টার বাণী মনে করলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। এভাবে স্রষ্টা থাকা না থাকা একই থাকা। সংকীর্ণতার  ধারাবাহিকতায় Deist Philosopher ভলটেয়ার সর্বপ্রথম স্রষ্টাকে অস্বীকার করে বসে। নিটশে সামারাইজ করেন,
 “God is DEAD!” 
 [God the evidence. P. 37] 

আল্লাহর ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেওয়ায় মানুষকে এমন অনেক বিষয়ের সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হয় যার সাথে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। এজন্য তাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় অনেক অপ্রমাণিত বিতর্কিত বিষয়ের। এবং নিঃসন্দেহে তার মূলে থাকে পার্থিব বস্তুবাদ। যে আল্লাহর একক কনসেপ্টের উপর দাঁড়িয়ে আছে পরকাল, জবাবদিহিতা, নৈতিকতা- স্রষ্টার কনসেপ্ট হাওয়া করে দিলে এগুলোর নিশ্চয় কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। স্রষ্টাবিহীন সভ্যতার ভিত্তি কী তা হুমায়ূন আজাদের এক কথায় পরিষ্কার হয়,
সবকিছুই নিরর্থক... বিস্ময়কর বিশ্ব, রঙ্গিন ফুল বা মানুষ বা বন্যশুয়োর, সূর্য বা নক্ষত্র, গ্রহ উপগ্রহ সবকিছুর জন্যই অপেক্ষা করে আছে তাদের পরিণতি বিনাশ, যা থেকে কোনো উদ্ধার নেই। মহানিরর্থকতায় ভয় পেয়ে কিছু শিশুতোষ রূপকথা তৈরি করতে পারি আমরা, যেমন তৈরি করেছি ধর্মের রূপকথা, তৈরি করেছি স্রষ্টা, পাপ, পূণ্য, স্বর্গ বা নরক। হচ্ছে তাৎপর্যহীন জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার এক স্থুলতম প্রয়াস।" [আমার অবিশ্বাস- হুমায়ুন আজাদ] 
এটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিধান তো প্রণয়ন করতেই হবে, বানাতে হবে ঐতিহাসিক এক বাস্তবতা(!)। বিজ্ঞান যা কিনা এনলাইটেনমেন্টের গুরু- তার থেকেও ইস্যু করতে হবে ফাতওয়া। স্রষ্টাবিহীন বস্তুবাদী ধারণার উপর ভিত্তি করে ডারউইনের অসম্পূর্ণ অপ্রমাণিত তত্ত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় ভোগবাদী বর্ণবাদী ডারউইনিজম- সৃষ্টির ব্যাপারে স্রষ্টাহীন তত্ত্ব।[ডারউইনিজম সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর- জাকারিয়া মাসুদঃ সংবিৎ। The Genesis Mystery] ফ্রয়েড উদারনৈতিক ব্যাখ্যা দেন যৌনতার। [Kinsey, sex & fraud; Arthur P. Wolf and William H. Durham, Inbreeding, Incest and the Incest Taboo, Edited by. P. 23] মানুষ যা চায় তাই- এমন ভোগবাদী আইডিয়া থেকে আসে গণতন্ত্র। [Democracy and Islam- Abdur Rahim Green] রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত ধর্মকে টেনে বের করতে আনা হয় নতুন লাত, উযযাহ বা মানাত- সেক্যুলারিজম। [The Webstar Encyclopedia Dictionary of the English Language. P. 869.] 

সেক্যুলারিজম যে ভিত্তিগতভাবেই স্রষ্টার ধারণার জন্য প্রতিকূলতা একটা বাচ্চারও বোধগম্য না হওয়ার কারণ নেই। পৃথিবীতে যত আদর্শ আছে তার সবই কোনো না কোনো দিক থেকে সাংঘর্ষিক। এমনকি আহলে কিতাব আদর্শগুলোযারা কিনা সবচেয়ে কাছাকাছি, যেগুলোর মধ্যেও কি তুমুল বিরোধ!যেখানে ইসলামে কাফির আর মুসলিম সমান নয়, সেখানে সেক্যুলারিজমে সবাই সমান। গরু খাওয়া হিন্দুদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও মুসলিমরা নির্দিষ্ট দিনে এটি জবেহ করাকে সাওয়াব বা পূণ্য মনে করে। শিরক ইসলামে সবচেয়ে বড় অপরাধ কিন্তু হিন্দুরা করে মূর্তিপূজা। যেখানে বিরোধগুলো একেবারে সামাজিক পর্যায়ে সেখানে কীভাবে সামাজিক রাষ্ট্রীয়ভাবে কীভাবে উভয়েরই স্বাধীনতা সহাবস্থান কীভাবে সম্ভব? তাই সবচেয়ে উদার সেক্যুলার প্রেসিডেন্টের পক্ষেও সম্ভব না ইসলামের সবকিছুর স্বাধীনতা দেওয়া। কেউ এসে যদি ইসলামের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় সেটাও ইসলামের পরাধীনতা। নিঃসন্দেহে এটি ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি তাওহীদ আল হাকামিয়াহর লঙ্ঘন। [Tawhid al Hakamiyya- Sheikh Salih al Munajjid. Islam QA.] 

Humanism [What is Humanism- Humanist International] হলো মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়ার একটা ফ্লেভার, আসলে এর কোনো বাস্তবতা নেই। এটি হলো মূলত তাদের বানানো কাঠামোর দাসত্ব করার স্বাধীনতা। দিনশেষে স্বাধীনতা হলো সুদী ব্যাংকে লেনদেন করা, কোট টাই পরা, ফ্রি মিক্সিং, “Don’t judge” ইত্যাদি। এর বিপরীত কাজগুলো মানসিক স্বাধীনতার জায়গা থেকে করলেও আপনি বর্বর, হুজুর, শিবির ইত্যাদি ইত্যাদি। [বিস্তারিত দেখুন চিন্তাপরাধ- আসিফ আদনান] 
[]

একজন মুসলিম কি সেক্যুলার হতে পারে? কিংবা একই সাথে মুসলিম সেক্যুলার?

নাহ! কখনোই না!


একজন মুসলিমের কাছে আল্লাহই জীবন, আল্লাহই মরণ। সব মুসলিমই আল্লাহর ঘরোয়া দাস- হাউজ নিগ্রো। আল্লাহর কথাই তাই জীবনের সবক্ষেত্রে একজন মুসলিমের জন্য চূড়ান্ত। ইসলামে সেক্যুলার গভর্নমেন্টের সকল সদস্যকে আমভাবে কাফির বলা হয়। কেবল যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তাবিল করে পার্লামেন্টে যায় তাদের তাবিল (ব্যাখ্যা), ওজর (অপারগতা) ইত্যাদি গ্রহণ করা হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম। 
আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, নিশ্চয় আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। 
 :১৮, :১৬৩, ২৫৫। :, , ১৮, ৬২। :১৭১। :৭৩। :১৯, ১০২, ১০৬। :৫৯, ৬৫, ৭৩, ৮৫, ১৫৮। :৩১। ১১:১৪, ৫০, ৬১, ৮৪। ২০:, ১৪, ৯৮। ২১:২৫, ২৯, ৮৭, ১০৮। ২৩:৯১, ১১৬।
এখানে ইলাহ- এর উপর নির্ভর করে তাওহীদের শাখা তাওহীদ আল উলুয়িয়াহ গড়ে উঠেছে। নিঃসন্দেহে এটি তাওহীদ আল হাকামিয়াহকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এর পরিষ্কার ব্যাখ্যার জন্য শাইখ আহমাদ মূসা জিবরিলের তাওহীদের উপর দারসগুলো দেখা যায়। 
আল্লাহ কেবল ইসলামই গ্রহণ করবেন, আর কিছুই না।
  :৮৫। ৬১:৭। 
তার মানে ইসলাম বাদে আর কোনো আদর্শই আল্লাহ গ্রহণ করবেন না, কোনোক্ষেত্রেই। এ সমগ্র মহাবিশ্বের মালিক যা গ্রহণ করবেন না- একজন মুসলিম কীভাবে তার অনুসারি হবে? 

তোমরা কি আল্লাহর কিতাবের কিছু মানছো আর কিছু অস্বীকার করছো? এর জন্যই রয়েছে পৃথিবীতে অপমান আখিরাতে আযাব।  
:৮৫। 
যারা সেক্যুলার আইন মানে আবার মুসলিমও দাবী করে, হতে পারে তারা সালাত আদায় করে, সিয়াম পালন করে- তাদের জন্যও পৃথিবী ও আখিরাতে আছে শাস্তি। কেননা ইবাদাতে আল্লাহকে রব মানে কিন্তু আল্লাহকে বিধানদাতা মানে না। এটি একই সাথে তাওহীদ আল হাকামিয়াহ ও তাওহীদ আল উলুয়িয়াহয় শিরক।  তারা কীভাবে লাঞ্ছিত হয়, আমেরিকার দাস হয় তা বর্তমান মুসলিম বিশ্বের শাসকদেরকে দেখলেই বোঝা যায়। 

বলা হয় ধর্ম ধর্মের জায়গায়, সংবিধান সংবিধানের জায়গায়। ইসলামের জায়গাটা কোথায়?

নিঃসন্দেহে সবক্ষেত্রে, যেভাবে সবকিছুর একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ। 
আল্লাহর দেওয়া বিধান দিয়ে যারা সিদ্ধান্তগ্রহণ করে না তারা কাফির, যালিম, ফাসিক। :৪৪, ৪৫, ৪৬। ৩৮:২৬। :৩।
সেক্যুলারদের ব্যাপারে ইসলামের স্ট্যান্ড কী তা এখানে পরিষ্কার। ইসলামের দৃষ্টিতে তারা কাফির, জালিম, ফাসিক। তারা কোনোভাবেই ইসলামের গণ্ডির মধ্যে অবস্থান করে। এটি ইসলাম বাদে সকল বিধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাতারদের আদালতে বিচার প্রার্থনা করা নিয়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ তার ঐতিহাসিক ফাতওয়ায় বলেন যে যারা কুফরি আদালতে বিচার প্রার্থনা করে তারা কাফির। 
কেবল আল্লাহরই আনুগত্য করো, এটাই সঠিক পথ। 
৩৬:৬১। ৫১:৫৬। :৪। :২১। :৬৪। :৩৬। :৭৬। :১০২। :৫৯, ৬৫, ৮৫। :৩১। ২১:৯২। ২৩:২৩, ৩২। ৪৬:২১। ৫৩:৬২। ৯৮:৫।
 
কেবল এবং কেবলমাত্র আল্লাহর আনুগত্য, আত্মসমর্পণ অর্থাৎ ইসলামই সকলক্ষেত্রে অনুসরণ করাই সঠিক পথ- হোক সেটা ব্যক্তি, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এটাই ইসলাম। আল্লাহর ইসলাম, সাহাবাদের ইসলাম, সালাফদের ইসলাম। শাহরিয়ার কবির কিংব ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসলামে এসব নেই। 

এ বিষয়টি বোঝার জন্য ইজতিহাদের প্রয়োজন নেই, নেই এতে সালাফদেরও ইখতিলাফ (মতানৈক্য)। এটি পরিষ্কারভাবে নস (কোরয়ান ও হাদীসের স্পষ্ট বর্ণনা) দ্বারা প্রমাণিত। ইসলামের গণ্ডীতে থাকতে হলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ, রাসূল সা. ও সালাফদের অনুগামী হতে হবে। নিজস্ব ব্যাখ্যা ও গত দুই শতকের কোনো খারেজী বা মুরজিয়ার অনুগামী হলে সেটা আর যাই হোক, ইসলাম হবে না। 
 []

যুদ্ধটা কি এতোটাই সরল?
আসলেই কি আল্লাহসেন্ট্রিক আর আল্লাহহীন সেন্ট্রিক?

পৃথিবীতে কুফর আর ইসলাম, সত্য আর মিথ্যার চুড়ান্ত লড়াই হবে ঈসা . দাজ্জালের মধ্যে- দুই মাসীহর মধ্যে। এবং নিঃসন্দেহে মিল্লাতি ইবরাহীমের অনুসারীরা ইমাম মাহদী আ. এবং ইয়াহুদীরা (যাকে আল্লাহ হিদায়াহ দেন সে ব্যতীত) দাজ্জালের অনুসারী হবে। এবং চূড়ান্তভাবে মুত্তাকীরা বিজয়ী হবে। এটাই আমাদের আকীদা, এটাই সত্য আর এটাই ঘটবে ইনশাআল্লাহ। 
বর্তমান সংঘাতের ধারাবাহিকতাই তো সেটা। এখনের যুদ্ধও ইয়াহুদীদের সাথেই।
 
কী?
অবাক হচ্ছেন
For to us a child is born, to us a son is given; and the government is upon his shoulder; and his name shall be called “wonderful counselor of the mighty God, of the everlasting Father, of the Prince of peace." [Isaiah 11: 1-4]
How great was the strength of Ben Koziva [a.k.a. Bar Kokhba–the leader of the 132-135 CE Judean revolt against Rome]? He would intercept the stones shot by Roman catapults with one of his knees, heave them back, and thus slay ever so many Roman soldiers. When R. Akiba beheld Ben Koziva, he exclaimed, ” ‘A star (kokhav) has risen out of Jacob [Numbers 24:17]’–Koziva has risen out of Jacob!  He is the king Messiah." [Eichah Rabba 2:2]
ইয়াহুদীরা অপেক্ষা করে আছে তাদের মাসীহের জন্য- যাকে আমরা বলি দাজ্জাল, ওয়ান আইড দাজ্জাল। তারা তার পেছনে দাঁড়াবে, যুদ্ধ করবে, দাজ্জালি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। তারা লুসিফার নামের এক শয়তানের পূজারি। ড্যান ব্রাউন তার Lost Symbol যতই ফ্রিম্যাসনের গুণগান করুন না কেন বাস্তবতা হলো এটি পুরোই যায়নিস্ট একটা সংগঠন। সমগ্র পৃথিবীতে তারা রেডি করছে ফ্রিম্যাসন লজ।[Masonic Dictionary]  থিওডর হার্জেল যায়োনিস্ট ইয়াহূদী গুরুদের নিয়ে একটা মিটিং করেন। সেখানে তারা কীভাবে পুরো পৃথিবীতে রাজত্ব করবে তার বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করে। এর নাম হলো Protocols of the Learned Elders of Zion। লক্ষ্য হলো দাজ্জাল আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, ইয়াসরিব পর্যন্ত তাদের যে Promised land তা প্রতিষ্ঠা করা। এটি এক ফ্রিম্যাসনিক নারী তা এক পাদ্রীর হাতে দেয় এবং পাদ্রী খৃস্টধর্ম রক্ষার লক্ষ্যে এটি ১৯০৫ সালে প্রকাশ করেন। সেখানে এনলাইটেনমেন্ট কীভাবে হবে, তার পরবর্তী ইফেক্ট কী হবে, এতে তাদের কী সুবিধা সবই বর্ণনা করা হয়েছে। 
এটি সবারই পড়া উচিত, জানা উচিত। বইটি বাংলায় আধুনিক প্রকাশনী থেকে ইহুদি চক্রান্ত’ নামে বের হয়েছে।
সেখানে চার্চের পতনের ব্যাপারে বলা হয়েছেঃ
"পোপীয় আদালতকে উচ্ছেদ করার সময় যখন আসবে তখন এক অদৃশ্য হাত পৃথিবীর জাতিগুলোকে এ আদালতটি দেখিয়ে দেবে। সাথে সাথে তারা এর উপর ঝাপিয়ে পড়বে।  আর আমরা তখন রক্ষাকর্তার ভূমিকায় আসবো।"
"আমরা কোনো প্রতিষ্ঠিত গীর্জার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করবো না। বরং ধর্ম ও গীর্জার বিরুদ্ধে নব্য সমাজকে বিরোধী ভাবাপন্ন করে তুলবো।" 
তারা প্রথমে চার্চের অন্যায়কে পূঁজি করে বিদ্বেষ ছড়ায়, একসময় এর মাধ্যমে আক্রমণ করে সব ধর্মকে। চার্চকে তারা ধ্বংস করেনি, অসহায় করে খালি করে দিয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ধর্মকে বানিয়ে দিয়েছে আগন্তুক, গুরাবা, Stranger।
তারা এর ফলাফলে মানুষকে ভোগবাদি বানানোর ব্যাপারে বলছেঃ
"নন ইহূদীদের অন্তর থেকে খোদার অস্তিত্ব সম্পর্কিত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক ধারণা মুছে ফেলে তাতে কেবল গণিতে হিসাব ও বস্তুতন্ত্রের প্রয়োজন প্রবল করে তুলতে হবে। তারা যেন চিন্তা করার সুযোগ না পায় তাই তাদের মস্তিষ্ককে শিল্প ও ব্যবসায় ঝুকিয়ে দেবো। ফলে এটা তাদের এতোই গ্রাস করবে যে তারা শত্রুর দিকে তাকানোরও ফুসরত পাবে না। এরা সমাজের উত্তম লোকদের প্রতি চরম ঘৃণা পোষণ করবে। সোনার পূজারি হয়ে যাবে। এবং আমাদের প্রচারিত ঘৃণার ফলে সমাজের বুদ্ধিমান লোকদের আক্রমণ করবে।"
তারা ধর্মকে ঘৃণা করবে। ফলে আল্লাহর অস্তিত্ব মুছে যাবে মন থেকে। কত বেশি ইনকাম করা যাবে, ব্যবসা বাড়ানো যাবে, প্রোমোশান পাওয়া যাবে এই থাকবে চিন্তায়। ফলে এর ব্যাপারে যারা নিরুৎসাহিত করবে তাদেরকে হুজুর, শিবির বলে ফেলা হবে জলমানব, হোমো সাসেরের ক্যাটাগরিতে। যখন ইচ্ছা জঙ্গি, শিবির বলে মেরে ফেলা হবে তাদের। বর্তমান সেক্যুলার সরকারগুলোর ব্যাপারে তাদের কথাঃ
"বর্তমান সরকার কাঠামো ভেংগে যাবে। আমরা তাকে এক দোদুল্যমান অবস্থায় রাখছি যতক্ষন না চাকা সম্পূর্ণ ঘুরে যায়।"   
"আমাদের মুরুব্বিরা পলিটিক্যাল ইকোনমি সম্পর্কেযে বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে তা অতীত থেকেই পূঁজির প্রাধান্য প্রচার করে চলছে।"
"আমাদের ম্যাসনদের প্রবর্তিত উদারতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি স্লোগান ক্ষমতায় যাওয়ার পর এমনভাবে পরিবর্তন করবো যেন এর মূল্য শেষ হয়ে যায় ও এগুলো আদর্শবাদ প্রচারের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।" [Protocol of The Learned elders of Zion]
তারা এ সরকার ভেঙ্গে দেবে। যতদিন না দাজ্জালি রাজত্ব কায়েম হচ্ছে ততদিন টিকিয়ে রাখবে। 'সবার উপরে মানুষ সত্য', বা 'ধর্ম যার যার' টাইপ উদার ও বেইজলেস ভাসমান মানবতাবাদি স্লোগানগুলো হবে ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ বা যায়োনিস্ট আদর্শের প্রচারের হাতিয়ার।
এভাবেই সাপের মাথা এগিয়ে চলছে সমগ্র বিশ্বে। বইটি পড়ুন। পড়তে বলুন। গিফট দিন। যত বেশি সম্ভব ছড়িয়ে দিন।
আজকে সকাল থেকে আপনি কি করছেন তাও নিয়ন্ত্রিত। দাসত্ব করছেন কার্যিক ও মানসিকভাবে। তারা আপনার ঘরে, আপনার পাশে, আপনার হাতে, আপনার চোখে, আপনার ব্রেনে।
সচেতন হোন। সচেতন করুন।
এরা পরাজিত হবেই ইনশাআল্লাহ। কেউ না চাইলেও হবে।
"তারা চায় আল্লাহর দ্বীনকে এ ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিতে। কিন্তু আল্লাহ তা প্রজ্জলিত রাখেন। তা যতই তাদের অন্তর্জালার কারণ হোক না কেন।" [সূরা তাওবাহ ৩২] 
তবে আপনি দাজ্জালের ফিতনা[বিস্তারিতঃ কিতাবুল ফিতান]  থেকে বাঁচতে পারলেন কিনা, বার্নিং কোয়েশ্চান এটাই।


Post a Comment

0 Comments