এক পাঠচক্রে আলোচনা হচ্ছিলো 'ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন' বইটি নিয়ে। (Life was beautiful back then...) সে বইয়ে আলোচনা করা হয়েছে দ্বীন কায়েমের পন্থা নিয়ে। সেখানে একটা জায়গায় আটকে গেলাম সবাই। বইয়ে 'কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ' ও ইকামাতে দ্বীনকে আলাদা ক্যাটাগরি করা হয়েছে। আপত্তির জায়গাটা হলো, কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ সাকসেসফুল হলে তো ইকামাতে দ্বীন হয়েই গেলো। তাহলে ক্যাটাগরি আলাদা কেন?
ব্যাপারটা এতো সহজ না। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল মানেই সব ক্ষেত্রে অর্থাৎ সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়ে যাওয়া না। তালিবান যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তারা আসলেই কিছু জোরাজুরি করেছিলো সাধারণ মানুষের উপর, ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। এবং মজার বিষয় কি জানেন? আল-কায়েদা এমন চাপকে পছন্দ করতো না। সাধারণ মানুষের কাছে দ্বীন পৌঁছানোর ধাপের মধ্যে আছে ব্যাপক ইনডক্ট্রিনেশন ও একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় কঠোরতা। প্রেসারাইজ করা ইমোরাল না, কিন্তু স্ট্র্যাটেজিকেল ভুল।
ইয়াদ কুনাইবি আরব বসন্ত বিষয়ক লেকচার সিরিজ অনুবাদ করেছে Arshad Ansary ভাই, প্রকাশিত হয়েছে 'ইসলাম প্রতিষ্ঠা' নামে। সেখানেও তিনি কিছু স্টেপ বাই স্টেপ পথের কথা বলেছেন। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে আপনি চাইলেই হুটহাট আরোপ করে দিতে পারবেন না। এতোগুলো আলোচনার মূল কথা হলো আজকে তালিবানের কোনো অবস্থানে আপনি অবাক হতে পারেন, ভাবতে পারেন, "তারা কি মডার্নিস্ট হয়ে গেলো?" বাস্তবে লং ওয়ে টু গো।
তালিবানকে এ বেনেফিট অফ ডাউট কেন দেবো?
ইতিহাস পড়ে দেখুন। হাক্কানী, উমর, উসামাদের।
1 Comments
আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়া। আচ্ছা, ইসলাম সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞান (জানাশোনা) কেমন?
ReplyDelete